‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর মতে, স্ট্রোকে মৃত্যুর
সংখ্যা প্রতিবছরই লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে। কিন্তু জানেন কি, স্ট্রোকের প্রবণতা
বাড়িয়ে দেয় আপনারই কয়েকটা ভুল। সে সব যদি শুধরে নিতে পারেন দ্রুত, তা হলে
এর আক্রমণ থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবেন। প্রতিদিনের অভ্যাস থেকে তাই
ছেঁটে ফেলুন কিছু ত্রুটি।
খিদে পেলেই প্যাকেটবন্দি নোনতা কুকিজ, বা চিপ্স নিজেও যেমন খাচ্ছেন,
শিশুকেও কিনে দিচ্ছেন অনবরত। কিন্তু এ সবে মিশে থাকা অতিরিক্ত লবণ যে
তাড়াতাড়ি স্ট্রোক ডেকে আনছে, তা কি জানেন? অতিরিক্ত লবণের প্রভাবে রক্তচাপ
বাড়ে এবং তা মস্তিষ্কে রক্ত সংবহনে বাধা দেয়। ফলে আজই রাশ টানুন অতিরিক্ত
লবণ মেশানো খাবারে।
২০১৭ সালে ‘স্ট্রোক’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে, দিনের পর দিন
সকালের প্রথম খাবারে কোনও সিরিয়াল বা প্যানকেক খেয়ে চলেছেন, তারাও দাঁড়িয়ে
রয়েছেন বিপদের মুখে। এই সব সিরিয়াল ও প্যানকেক পেস্ট্রিতে অতিরিক্ত চিনি
থাকে। ইস্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে এগুলোর ভূমিকা রয়েছে।
‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত ২০১৯ সালের একটি গবেষণা বলছে, মদ্যপান করেন না ও
স্বাস্থ্যকর খাবার খান তারা স্ট্রোকের থেকে অনেকটাই নিরাপদেথাকেন।
তুলনামূলকভাবে মদ্যপায়ীরা রয়েছেন বিপদে। এই প্রসঙ্গে ২০১৫ সালের আর একটি
গবেষণা বলছে, দিনে দু’পেগের বেশি মদ খেয়ে থাকলে স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়
আরও।
শরীরে ভিটামিন সি-এর কোনো অভাব পড়ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
হেমোরহ্যাজিক স্ট্রোককে ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি। পাতে রাখুন ভিটামিন
সি সমৃদ্ধ খাবার।
মেদ ঠেকাতে ও জিভকে আরাম দিতে সাধারণ নরম পানীয় ছেড়ে ডায়েট পানীয়কে বেছে
নেন অনেকেই। কিন্তু এতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে। যা হার্টের জন্যও
ক্ষতিকর। মেদ ও কোলেস্টেরলও বাড়ায়। স্ট্রোক ডেকে আনতেও এর জুড়ি নেই।
শীত হোক বা গরম, শরীরকে শুষ্ক করে দেওয়া চলবে না মোটেই। তাই জল খেতে হবে
পর্যাপ্ত। অ্যালকোহল শরীরে জল শোষণ করে শরীরকে শুষ্ক করে দেয়। তাই মদ ছাড়তে
পারলে খুবই ভাল। সঙ্গে জলের অভাব যাতে না হয়, তার খেয়ালও রাখতে হবে।