
অ্যান্টিবায়োটিকে কোনো অসুখ একটু সারলেই ব্যস, পুরো অ্যান্টিবোয়োটিকগুলোর
কোর্স শেষ করি না। আমাদের দেশে ঘরে ঘরে এই একই চিত্র চিকিৎসকদের উদ্বিঘ্ন
করে তুলছে। যখন তখন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার শেষ না টানলে কী ক্ষতি
অপেক্ষা করছে তা জেনে নিন।

কেবল বাংলাদেশে নয়, গোটা বিশ্বেই যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের
প্রবণতা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোর্স না শেষ করে মাঝ পথেই
ওষুধ থামিয়ে দেওয়ার বদভ্যাস। আর এ নিয়েই চিন্তিত চিকিৎসকরা। ‘সুপারবাগ’-এর
হানায় চিন্তায় গবেষকরাও।

আপনার এই মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, সেই ওষুধের নির্দিষ্ট
কোর্সটি শেষ না করা, এই সবই ধীরে ধীরে ডেকে আনছে এই রোগকে, এমনটাই মনে
করছেন চিকিৎসকমহল। ব্যস্ততার জীবনে এই অসুখ ডেকে আনার প্রবণতা নিয়ে চিন্তায়
চিকিৎসকরাও।

শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী শক্তি নিয়েই হানা দিচ্ছে যে সব
ব্যাকটেরিয়া, ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’
(ইসিডিসি)-এর গবেষকরা তাদের নাম দিয়েছেন ‘সুপারবাগ’! ইউরোপ মহাদেশে
সুপারবাগের প্রকোপে প্রতি বছর ৩৩ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে!

সোজা কথায় ব্যাখ্যা করলে বলা যায়, অবৈজ্ঞানিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক
ব্যবহারের কারণে শরীর হারাচ্ছে জীবাণুর সঙ্গে যুঝে যাওয়ার ক্ষমতা। তাই
আজকাল ভাইরাল ফিভার থেকে শুরু করে একটু অচেনা ব্যাকটেরিয়ার হানা রুখতে
পারছে না শরীর। ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে।